পয়লা বোশেখের কবিতা_প্রবীর তা
চোদ্দশ বাইশ
(১)
গলায় বিধেঁ থাকা তিরিশে চোত গড়ান রাত
বঙ্গকূলে তোমার পাঁজর ক্ষতে জল ঢেলে
নতুন সূর্য গলে (কি) নতুন সকাল !
নতুন বছর ছোঁয়া সৌভাগ্য কপাল
পুরনো ভূলে নতুন বিনিময়
আকাশ ছেয়ে যায়
অগ্রানের নতুন রসে নতুন শফৎ আঙিনায়
ন-সমুদে নতুন সই -- নতুন বাঁধি পুরনো খাই
না কি রঙ পালটে উঁকি দেয়- পুরনোই !
পুরনো বাঁধি নতুন খাই
নিত্য নতুন কোথায় পাই।
মাটির ভিতর নারীর ভিতর সে নতুনের জন্ম হয়
পালন হয়
মুঠো মুঠো মাটি-- রক্ত ধূসর উর্দ্ধমুখী
বৃত্ত-বৃন্তে সোঁদা গন্ধ থোকা থোকা ভরপুর
মাটি নারী দুই চিরে ডাল ঝুলে ডাক দেয় ভর দুপুর।
পোহাতেই সাগর জলে সূর্যোদয়
(২)
বাজার পাশে ফেলে কলেজ রাস্তা ঝুলে
হঠাৎ গজিয়ে ওঠা পার্লার রেস্তোরাঁ
ফ্যাশান-শো হরেক ডিজাইনার আনকোরা
ভিডিও গ্রাফ লগ্ন সাইবারকাফে ডটকম্
ওয়েব সাইট- ফেসবুক-ট্যুইটারে কানচাপা রোমাঞ্চ
পুশিং পাল্লা গলে ভেসে আসা মাতাল গন্ধ
আড়চোখে আটকে যাওয়া আঁঠালো দৃষ্টি গেলা
অষ্টাদশী বুক-বসন্ত
ঝরঝরে তরতরে বঙ্গ-ললনার মতো-- সু-সজ্জিত
বোশেখ-বাইশ তুমি পয়লা !
না কি ভারত সমুদ্র বুকে- অক্টোপাস
বুকভর দেয়াল চাপা ইতিবৃত্তঃ !
গায়ে তোমার লেপ্টে থাকা বাসি পারফিউমের মতো
ভিখারি পাসোয়ান
সিঙ্গুর তাপসি মালিক ভাঙর আমরাশোল
টপকানো নন্দীগ্রাম শিশুমুখ
বিষ নিঃশ্বাস ফেলে ঘাড়ে
চাকোলতোড়ের বুভুক্ষু রামপ্রসাদ
না কি বামনডিহা-অঞ্জনার শ্বাসরুদ্ধ আর্তনাদ
হাসপাতালের চোরা নালায়
পার্কস্ট্রিট গলে কামদুনি বারাসাত ছুঁয়ে
শিয়রে তুমি চোদ্দশ বাইশ !
অভিমুখ বিস্তৃত হতে হতে
ভাসিয়ে নিয়ে যাও দূর দূর বনান্তরে
ফুরাও না কক্ষনো !
তখনো শিল্পপতি হতে চাওয়া উপকণ্ঠ উপকূলে
পুরনো প্রযুক্তি গনেশ ওল্টানো
পাল্লায় চড়ে জলের দামে রাতের অন্ধকারে
গলে মজ্জা তার বার্ণস্ফিয়ারে ;
নতুন স্বাদগন্ধে নির্ম্মোক ছাড়া নতুন ফটক মেলা
তুমি বোশেখ পয়লা।
মাথাপিছু দুই ক্রোড়ে বহুপুণ্যের জন্ম ফলে একলাখি ন্যানো
বুঝি কালো ছায়াফেলে সিঙ্গাপুর সাগরজলে।
No comments:
Post a Comment