৩০-শে চৈত্র মধ্যরাতের কবিতা
চিত্রকলা, pencil drawing, |
তিরিশে চোত ! তূমি থমকে থাকো আপাতত
একুশের বুক-চাপা ধুনোর গন্ধে সন্ধ্যে বাঁওড়ানো
রাত্রিকালীন ঝাঁপ-বন্ধ দরজায় ।
দাঁড়ানোটাও একরকম চলা--- গাছের মতো :
আমরা বিগত সাত দশক ধরে এগিয়েছি
না কি পিছিয়েছি !!!
গতিটার ধরণ ত্বরণ না মন্দন--তুমিই বলতে পারো
সবথেকে ঠিকঠাক ।
বেওয়ারিশ গণতন্ত্রে দু'বেলা পোশাক পাল্টে
যদি এগিয়ে থাকি---
তবে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এই "মৃত্যু-সহবাস
অহরহ"----আমাদের সহ্য হয়ে গেছে ।
এবং আমরা এখন সবথেকে সভ্য ভাবেই অভ্যস্ত
যাবতীয় বিরোধকে বুকে ধ'রে
সোহাগ-চুম্বন-চিহ্ন এঁকে দিতে :
এ বিষম উষ্ণ-বসন্ত-দিনে তরমুজের হিমেল রসায়ন
আমাদের এ-নিয়মটা শিখিয়েছে ভালো করে ।
বেসুরে সুর মেলানোর ওরাল-রি-হাইড্রেশন্
গলদঘর্মের দিনে খুবই কার্যকর ;
সেহেতু বুনো আম খেয়ে কাচমিঠে বলতে পারাটা
এখন রীতিমতো আদব । তাতে বুনোর অম্লত্ব
এবং কার্যকারিতা ---না কমে , ব'ই বাড়ে ।
সুভাষ বসুর সঙ্গে এখানেই যাবতীয় বিরোধ
ভদ্রলোক প্রেমিক ; আধুনিক এ নিয়মটা রপ্ত
করেন নি ঠিকঠাক । আর তাই ভীষণ তপ্ত দিনে
বিষম চলার পথে একপলক ও না থমকে
অন্তরীণ হয়ে যাওয়া মধ্যপথে ।
আর যদি দাঁড়ানোটা অসহ্য'ই হয় একান্ত
চলতে চাওয়া নদীর মতো ---তবে কথা দেওয়া ভালো
বীজ বোনার আগে অন্তত --
নারী এবং মাটির সাথে কথা কবো--এবং
আল্ট্রাসনোগ্রাফির আগে হবে তার শনাক্তকরণটা
যথাযথ । অন্ততঃ আর কোনো পিতৃ-পরিচয়ের
ছুৎমার্গিতায় হ'ব না নিছক উন্মাদগ্রস্ত ।
কেননা জন্মানোর আগে এবং পরে আমাদের
পিতৃ-পরিচয়টাও সেই নারী এবং মাটিই দেয়
শেষপর্যন্ত ।আর আমরা এখন বুঝি তাই অনায়াসে
করতে পারি "সব অধিকার" তালিকাভুক্ত !!!
No comments:
Post a Comment