স্বপ্ন কথামালা--!!
সব কবিতাই কথা-- সব কথা কবিতা না--
কথা যখন শৈল্পিক --তখনি কবিতা !
চেতনার দ্যোতনায় ঘোচায় যতো দুঃখের অমানিশা।
শব্দচয়নে-- নির্মেদ নিটোল সুতনু তন্বী যেন মোহময়ী
সুন্দরী কবিতা । এলোকেশী বিবসনা দিগ্বসনা রমণীয় রমণী কবিতা। জনান্তিকে সে কোন্ দূর
তপোবনে নিভৃত সাধক কবির অলৌকিক রোমন্থনে
ঘনায়িত প্রেমে চুম্বনে চুম্বনে অত্যুগ্র এষণার অপার রমণে--মগজ-বাহিত অক্ষর ওজঃস্খলনে শব্দ-ব্রম্ভের
যজ্ঞানল হ'তে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে কোমল কবিতা কামিনী--!!
যার সুডৌল স্তনদুটি বক্ষজুড়ে শোভা দেয় মুক্তাহারে
নিপাত যাক বিশ্বজোড়া যতো দ্বেষ-হিংসা চরাচরে--!
নিবিড় যতনে বাঁধো আমার সবটুকু পৌরুষ তোমার অমৃত বাহুডোরে--!কর্ষিনী অঙ্গের ভাঁজে ভাঁজে অম্লান দ্যুতিকণা ঝর্ণার মতো ঝরুক শ্বেতাসনে--!!
শিউরে উঠি!চমক ভাঙে। দিবাস্বপ্নের--। অসময়ে শীতের আকাশে-- কালো মেঘ। ভয়াল কর্কশ স্বরে বর্জ্র পতন। শিহরিত দু'চোখের শূন্য দৃষ্টি জুড়ে--
হা-হুতাশ--! কোথা সে মহাকবি বাল্মীকি-বেদব্যাস
কালিদাস মধুসূদন !বুঝি এমনি স্বপ্নভাঙা বর্জ্রপতনে
খান খান হয়ে যাওয়া সব কাব্যকথন--!!!
তাই আমার একথা কবিতা না-- । কেবলই কথা।
অশৈল্পিক । লৌকিক। অগোছালো কথামালা।
এলোমেলো বিশৃংখল আত্মকথন। পাগলের প্রলাপ।
হতভাগ্যের আত্মবিলাপ। বলে যেতে হয়।মুক্তির আশায়।তার কথা-- তাহাদের কথা--! আঁধার উবুর
করে ঢেলে মধ্যদিনে যারা ঘর ভাঙে--দাবানল জ্বলে
যাদের অহর্নিশি বুকের পাঁজরে--উন্মুক্ত দাওয়া হতে
স্বজন হারা উঠোনে ! কাটালাশ ঘর হতে রাজপথে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের নোনা দাগ সারমেয় খায় চেটে !
আমার বিবসনা কবিতাকায়া সেইসব শব্দকাটা যন্ত্রণার হৃদয়ের নৈঃশব্দ্য আকুল অনলে দগ্ধতার আঁশটে গন্ধ মেখে উঠে আসে -- বিভৎস উল্লাসে।
আমার প্রত্যঙ্গে তাহাদের ছায়া ঘিরে থাকে -- নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে তাহাদের হাহাকার মিশে নিশ্চিন্ত
রাত্রি ঘুম নাশে--!!
কমলিকা কবিতার সুতনু লাবন্য দ্যুতি ক্ষয়ে ক্ষয়ে
পুড়ে পুড়ে কুৎসিত পৃথিবীর হিংশুটে দহন ক্রিয়ার
সাক্ষী হয়ে ভষ্মীভূত স্তূপে ঢাকা থাকে ! বিষাদের ঘনকালো মেঘ যেমন চরাচর ঢাকে--!!
সুরহীন--ছন্দহীন--এক'ই কথা-- একঘেয়ে জীবনের
পাশবিক নগ্ন যাপনে পরকীয়া রতিক্রিয়ায় দুর্যোগের সীমাহীন রাত্রি ছুঁয়ে ফুটপাতে ন্যংটো শয্যায় জেগে থাকে--বেওয়ারিশ উৎপাদনে !!
No comments:
Post a Comment